Friday 18th of October 2024

ষড়যন্ত্রমুলক মামলা মোকাবিলা করে কারামুক্ত ড. কাজী এরতেজা হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক »

ষড়যন্ত্রমুলক মামলা মোকাবিলা করে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্য পিপলস টাইমের সম্পাদক ও প্রকাশক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি।

আজ সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সকল প্রক্রিয়া শেষ করে তার আইনজীবী জামিননামা দাখিল করেন। জামিননামা কারাগারে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় তিনি কারামুক্ত হন। এর আগে গত ১ নভেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে।

২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া নর্দান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহসহ তিনজনকে আসামী করে মামলা করেন। এ মামলায় নর্দান ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও রিয়াজুল আলম নামের আরেকজনকেও গ্রেফতার করেছিল পিবিআই।

পিবিআই দাবি করে মামলার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ড.কাজী এরতেজা হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ মামলার এজাহারসহ কোন ধরনের ডকুমেন্টসে ড. কাজী এরতেজা হাসানের নাম ছিল না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল মামলায় নাম না থাকার পরও ৮ বছর ৫ মাস পর ড. এরতেজা হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। এবিষয়ে ড.কাজী এরতেজা হাসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম হিরণ বলেন, মূলত নর্দান ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আশিয়ান সিটির জমির বিষয়ে ৩০ কোটি টাকার লিখিত চুক্তিনামা হয় এবং তারা সেই পাওনা বুঝে নিয়ে অঙ্গীকারও করেছে। অথচ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার মক্কেল ড. কাজী এরতেজা হাসানকে হয়রানি করতে বলা হচ্ছে ৫০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। আসলে এটি মিথ্যা। এছাড়া আমার মক্কেল ড. এরতেজা হাসান টাকা পয়সা লেনদেন কিংবা কোন চুক্তির সঙ্গেও সংশ্লিষ্টতা নাই। তারপরও আমার মক্কেল দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ড. কাজী এরতেজা হাসানকে শুধু মাত্র হয়রানি করতে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় আদালতে ড. এরতেজা হাসানের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউল রহমান, কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মোকলেসুর রহমান বাদল, জাহিদুল ইসলাম হিরুন, হাবিবুর রহমান চুন্নু, সাইফুল ইসলাম সিরাজী, শফিকুল ইসলাম সোহেল, এস এম আকিকুর রহমান, আবদুল সাত্তার প্রমানিকসহ অন্যান্য আইনজীবীগণ।

Write Your Comment Here

Comments are closed.